IQNA

ভিডিও | ৬ বছরের শিশুর মনোমুগ্ধকর তিলাওয়াত

তেহরান (ইকনা): সম্প্রতী লিবিয়ার ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মনোমুগ্ধকর কুরআন তিলাওয়াতের একটি ভিডিও সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে। 

ভিডিওটি প্রকাশের সাথে সাথে সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারকারী কুরআন প্রেমিকদের মাঝে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।  
 
লিবিয়ার ৬ বছরের “মাহমুদ ইউসুফ” অত্যান্ত সুমধুর কণ্ঠে সূরা মুলকের প্রথম থেক এগারো নম্বর আয়াত তিলাওয়াত করেছেন। 
 
ক্বারি মাহমুদ ইউসুফের সুললিত কণ্ঠে তিলাওয়াতে তারতিলের ভিডিওটি প্রচার করা হল: 
 
 
تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
 
প্রাচুর্যময় সেই সত্তা, সার্বভৌম ক্ষমতা কেবল তাঁরই হাতে এবং তিনি সকল কিছুর ওপর সর্বশক্তিমান। 
 
الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا وَهُوَ الْعَزِيزُ الْغَفُورُ
 
যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করেন যে, তোমাদের মধ্যে কর্মে কে উত্তম? তিনি পরাক্রমশালী, অতীব ক্ষমাশীল। 
 
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَّا تَرَى فِي خَلْقِ الرَّحْمَنِ مِن تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَى مِن فُطُورٍ
 
যিনি স্তরে স্তরে বিন্যস্ত সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন। আর তুমি অসীম দয়াময়ের সৃষ্টিতে কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না; তুমি আবারও তাকিয়ে দেখ, কোন ফাটল দৃষ্টিগোচর হয় কি না? 
 
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِأً وَهُوَ حَسِيرٌ
 
অতঃপর তুমি পুনঃ পুনঃ দৃষ্টি নিবদ্ধ কর, যতক্ষণ না দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসে। 
 
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
 
নিঃসন্দেহে আমরা নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং তাদের করেছি শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের হাতিয়ার এবং তাদের জন্য জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি প্রস্তুত রেখেছি। 
 
وَلِلَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
 
এবং যারা তাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি রয়েছে; আর তা কত নিকৃষ্ট পরিণাম! 
 
إِذَا أُلْقُوا فِيهَا سَمِعُوا لَهَا شَهِيقًا وَهِيَ تَفُورُ
 
যখন তারা তাতে নিক্ষিপ্ত হবে তখন তারা তার বিকট শব্দ শ্রবণ করবে এবং তা উদ্বেলিত হবে। 
 
تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ كُلَّمَا أُلْقِيَ فِيهَا فَوْجٌ سَأَلَهُمْ خَزَنَتُهَا أَلَمْ يَأْتِكُمْ نَذِيرٌ
 
ক্রোধে তা যেন ফেটে পড়বে; যখনই তাতে কোন দলকে নিক্ষেপ করা হবে, তার (জাহান্নামের) রক্ষীরা তাদের জিজ্ঞেস করবে, ‘তোমাদের নিকট কি কোন সতর্ককারী আসেনি?’
 
قَالُوا بَلَى قَدْ جَاءنَا نَذِيرٌ فَكَذَّبْنَا وَقُلْنَا مَا نَزَّلَ اللَّهُ مِن شَيْءٍ إِنْ أَنتُمْ إِلَّا فِي ضَلَالٍ كَبِيرٍ
 
তারা বলবে, ‘হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে আমাদের নিকট সতর্ককারী এসেছিল, কিন্তু আমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘আল্লাহ কিছুই অবতীর্ণ করেননি, তোমরা তো মহাবিভ্রান্তিতে রয়েছ।’ 
 
وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ
 
এবং তারা বলবে, ‘যদি আমরা (তাদের কথা) শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম তাহলে আমরা প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না।’ 
 
فَاعْتَرَفُوا بِذَنبِهِمْ فَسُحْقًا لِّأَصْحَابِ السَّعِيرِ
 
বস্তুত তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করবে। আর প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসীরা (আল্লাহর অনুগ্রহ হতে) দূর হোক। 
 

 

captcha